রাডার বৈ-সা-বি সংখ্যা --হিল লিটারেচার ফোরাম-এর একটি অনিয়মিত প্রকাশনা।

 

রাডার বৈ-সা-বি সংখ্যা। 


সম্পাদকীয়

------------------------

        সুপ্রিয় পাঠক, 'বৈ-সা-বি' উপলক্ষে আপনাদের জানাই রক্তিম শুভেচ্ছা। সাড়ে তিন মাস পর আবার অনতার অন্তরের কথা বলতে রাডার বের হলো। দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস আমারা ছটফট করেছিলাম দুর্ভাগা জনতার কথা বলতে। জানি, আপনারাও অধীর আগ্রহে সীমাহীন ধৈর্য্য নিয়ে আপেক্ষা করেছিলেন আমাদের। কিন্তু, বিভিন্ন অসুবিধা সীমাবদ্বতার কারনে সংযোগ রক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। এর জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

প্রিয় পাঠক, বাংলা ক্যালেন্ডারের পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিন করে কালের আবর্তে হারিয়ে দিলো আরো একটি বছর। সেই সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বাধীকারহারা দুর্ভাগা জনগনও অত্যাচার-উৎপীড়নের আবর্তে আবর্তিত হয়ে হারিয়েছে অনেক তাজা প্রাণ, অনিকা, অঞ্জনা, অঞ্জলী বটুদের মতো নাম জানা-অজানা অনেক মা-বোন হারিয়েছে ইজ্জত, প্রদিপন, পুলক, অনিমেষ -এর মত অনেক প্রাণোচ্ছ্বল তগবগে তরুণ পরেছে 'হাতকড়া” নামক সহজলভ্য অলংকার। এই দুঃসহ নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ঝাপিয়ে পড়েছে অজস্র  পাহাড়ী ছাত্র-অনতা। প্রতিবাদের লক্ষ ভায়ায় কেঁপে উঠেছিল চিমুক, ফুরমোন, ভগবানটিলা। ঢাকা, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান রাঙ্গামাটির রাজপথ প্রকম্পিত হয়েছিল প্রতিবাদী ছাত্র-জনতার পদভারে। কিন্তু তবুও আমার সেই কুৎসিত অত্যাচার-উৎপীড়নের আবর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি এখনো। পারিনি হতে স্বাধীন, শৃৎখলমুক্ত মানুষ। এখনো আমাদের সবুজ পাহাড়ের কোলে শাস্তির কপোত ওড়েনি। এখনো আমার আতংকিত ঘুমে দীর্ঘ দুঃস্বপ্নাচ্ছন্ন। আমাদের অনেকেই এখনো মাটির অন্ধকার প্রকোষ্টে নরক যন্ত্রণায় কাতর। সাঁতস্যাঁতে কারা প্রাচীরে এখনো আমদের ভাইয়ের তন্দ্রাহীন রাত পোহায়। দুঃখ-বেদনা দুঃসহ গ্লানি নিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যর জীর্ণ শরনার্থী কুটিরে এখনো আমদের হাজার হাজার জুম্ম নর-নারী প্রিয় জন্মভূমিতে ফেরার প্রহর গোনে।

  তাই এই বিঝু আনন্দের নয়। এই বিঝু নব চেতনা জাগরণের দিন। প্রতিবাদের লক্ষ মুষ্টিবদ্ধ হাত উর্দ্ধে তুলে ধরে শপথ নেয়ার দিন। সেই বিঝুই হবে প্রকৃত বিঝু, সেই সাংগ্রাই হবে সবচেয়ে আনন্দঘন, সেই বৈসুই হবে সবচেয়ে বেশী কোলাহলপূর্ণ  -- যেদিন আমাদের বুকে আর নিপীড়ন নির্যাতনের আশংকা থাকবে না। যেদিন সবাই আমারা আবার আমাদের প্রিয় পার্বত্য ভূমিতে মিলিত হতে পারবো। আমরা সেই কাংখিত বিঝু-সাংগ্রাই-বৈসুর জন্য এই বিঝু উৎসর্গ করতে চাই। সেই বৈ-সা-বির অন্য আজকের বিঝুতে আমরা ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ সংগ্রামে অবিচল, একনিষ্ট দৃঢ় থাকার অঙ্গীকার চাই।

 প্রিয় পাঠক, লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে বলছি আমায় নিদারুণ আর্থিক অনটনে ভূয়ছি। রাডার দেরীতে বেরুনোর এই মূল কারন। তাই বছরের ক্রান্তিকালের উৎসবে দশ টাকার উৎপাত সহ্য করুন। দোহাই আমরা চাদাবাজ নই। বিনিময়ে দিই বরবরে লেখায় সমৃদ্ধ তাজা রাডার।

শেষে বাংলা নববর্ষের প্রাণচায় উক্ত ভালোবাসা।


বিস্তারিত পড়তে নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করুন - 

রাডার বৈ-সা-বি সংখ্যা


Post a Comment

Previous Post Next Post