![]() |
| ছাত্র নেতা রমেল চাকমা’র ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীতে পিসিপির নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন |
সেনাবাহিনীর অমানুষিক নির্ষাতনে শহীদ ছাত্রনেতা রমেল চাকমা’র ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীতে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন, স্মরণসভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) নান্যাচর উপজেলা শাখা।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ২০২৪) বিকাল ৪টায় শহীদ রমেল চাকমা’র নিজ এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রথমে শহীদ রমেল চাকমার স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এতে পিসিপি’র পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক নিকন চাকমা ও রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি তনুময় চাকমা, শহীদ রমেলের মা আলো দেবী চাকমা, এলাকার শিশু-কিশোর ও এলাকাবাসী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ রমেলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণসভার পূর্বে রমেল চাকমাসহ পূর্ণস্বায়ত্তশাসন আন্দোলনে সকল শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
![]() |
| শহীদ রমেল চাকমার অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্প স্তবক অর্পণ করছেন রমেল চাকমা মা আলো দেবী চাকমা |
সভায় নিকন চাকমা বলেন, ২০১৭ সালের আজকের এই দিনে সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে ছাত্রনেতা রমেল চাকমা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শুধু তাই নয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ বাড়িতে আনার পথে সেনাবাহিনী মরদেহটি ছিনিয়ে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে ফেলে। আজ ৭ বছরেও রমেল চাকমার ওপর নির্যাতনকারী সেনা কর্মকর্তা তৎকালীন নান্যাচর সেনা জোনের কমাণ্ডার বাহালুল আলম ও রাঙামাটি ব্রিগেডের জি-টু মেজর তানভীরসহ জড়িতদের বিচার ও শাস্তি দেওয়া হয়নি। তিনি অবিলম্বে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা ও তাদের সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
![]() |
| শহীদ রমেল চাকমাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন স্মরণ সভায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোররা |
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী রিমি চাকমা বলেন, পাহাড়ে সেনাবাহিনী প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। রমেল চাকমা হত্যার বিচার না হওয়ায় দিন দিন সেনা নির্যাতনের ঘটনা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি বান্দরবানে কেএনএফের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে বম সম্প্রদায়ের গর্ভবতী নারী, শিক্ষার্থীসহ গণহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এই নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
যুব নেতা প্রিয়তন চাকমা বলেন, পাহাড়ে রমেল চাকমার মতো উদীয়মান নেতাদের হত্যার মাধ্যমে সেনাবাহিনী পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমন করতে চাচ্ছে। কিন্তু তাদের মনে রাখা দরকার খুন করে, দমন-পীড়ন চালিয়ে কখনো ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমন করা যায় না। রমেলকে নির্যাতন করে শারীরিকভাবে হত্যা করা গেলেও তার লালিত আদর্শ থেকে ছাত্র সমাজকে বিচ্যুত করা যায়নি। ভবিষ্যতে তরুণ প্রজন্ম একেক জন রমেল হয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
সভার সভাপতি সুমেত চাকমা শহীদ রমেল চাকমার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ছাত্র সমাজকে লড়াইয়ে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
![]() |
| স্মরণ সভা শেষে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হচ্ছে |





Post a Comment