প্রেস বিজ্ঞপ্তি: জেলা প্রশাসনের চিঠির জবাব দিয়েছে পিসিপি, কর্মসূচি বহাল

১৩টি শর্তে পিসিপি’র কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলনের অনুমতি দিয়ে জেলা প্রশাসন যে চিঠি দিয়েছে তার জবাব দিয়েছে পিসিপি। গতকাল ৯ নভেম্বর শনিবার জেলা প্রশাসনের চিঠির জবাবে পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সিমন চাকমা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, “অনুমতি পত্রখানি ৮ নভেম্বর ২০১৩ বিকাল সাড়ে তিনটায় আমাদের নিকট হস্তগত হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখের সাথে সবিনয়ে আপনাকে এই মর্মে অবহিত করছি যে, জেলা প্রশাসকের সাথে স্বাক্ষাত এবং পুলিশ সুপারের সাথে মোবাইল ফোনে আলাপের মাধ্যমে পিসিপি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলন আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হওয়ার বিষয়টি অবহিত হয়ে গত ৭ নভেম্বর ২০১৩ ইং বিকেলে আমাদের প্রতিনিধি সম্মেলন স্থগিত করা হয় এবং সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের সেই বিষয়টি অবহিত করে না আসতে নির্দেশ দেয়া হয়। সম্মেলন সংক্রান্ত অন্যান্য প্রস্তুতিও পিসিপি স্থগিত করেছে।

এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলন উক্ত সময়ের মধ্যে আর আয়োজন সম্ভব নয় বিধায় পিসিপি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। এ প্রসঙ্গে এটাও উল্লেখ্য যে, আমাদের সংগঠন পিসিপি গণতান্ত্রিক রীতি নীতি মেনে নিয়ে সভা সমাবেশ আয়োজন করে থাকে। পত্রের আপনার প্রদত্ত শর্তসমূহ পিসিপি তার সাংগঠনিক দায়িত্ববোধ থেকে তা পালন করে থাকে। পিসিপি গণতান্ত্রিক আইনশৃংখলার প্রতি বরাবরই শ্রদ্ধাশীল। আগামীতে আমাদের সংগঠন পিসিপি’র কর্মসূচী বাস্তবায়নে আপনার তথা প্রশাসনের আইনানুগ সহায়তা পাওয়া যাবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।”

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাগড়াছড়ি আগমনে নিরাপত্তার উছিলায় জেলা প্রশাসন ৯-১০ নভেম্বর পিসিপি’র কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলন আয়োজনে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ১০ নভেম্বর খাগড়াছড়ির সকল উপজেলায় বিক্ষোভ ও ১১ নভেম্বর পুরো জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ঘোষণা করে এবং প্রতিনিধি সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি স্থগিত করে। এ ঘোষনার পরদিনই তড়িঘড়ি করে জেলা প্রশাসন ১৩ শর্তে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলনের অনুমতি দিয়ে পিসিপিকে চিঠি দেয়। যার ফলে পিসিপি পূর্বঘোষিত সড়ক অবরোধসহ সকল কর্মসূচি বহাল রাখতে বাধ্য হয়েছে।

বার্তা প্রেরক

বিনয়ন চাকমা
দপ্তর সম্পাদক
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ

কেন্দ্রীয় কমিটি।

Post a Comment

Previous Post Next Post