থাগড়াছড়িতে শহীদ রূপক চাকমার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন


“কারো কারো মৃত্যু বেলে হাঁসের পালকের চেয়েও হাল্কা, বিপ্লবীদের মৃত্যু পাহাড়ের চেয়েও ভারী” এই শ্লোগানকে ধারণ করে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজ শাখার উদ্যোগে আজ ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার শহীদ রূপক চাকমার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ২০০১ সালের  আজকের এই দিনে ইউপিডিএফ’র পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে সন্তু লারমার লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।

আজ সকাল ৭টায় খাগড়াছড়ি সদরের নারাঙহিয়ার রেডস্কোয়ারে শহীদ রূপক চাকমার আবÿ মূর্তির পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ইউনাইটেড পিপল্‌স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ), শহীদ পরিবারবর্গ, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ। পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদ রূপক চাকমা সহ সকল শহীদদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এরপর অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত স্মরণ সভায় পিসিপি'র কলেজ শাখার সহ সভাপতি সুরেন চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ-এর খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক অংগ্য মারমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দীয় সদস্য জিকো ত্রিপুরা ও পিসিপি'র খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সভাপতি উমেশ চাকমা। জেসিম চাকমা সভা পরিচালনা করেন।


স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, শহীদ রূপক চাকমা নিজ ব্যক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য না দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়িত-নির্যাতিত পাহাড়ি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেকে আত্মবলিদান দিয়েছেন। সন্তু চক্র তাকে হত্যা করতে পারলেও তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি।

বক্তারা রূপক চাকমা যে আদর্শ ও চেতনায় সংগ্রাম করে গেছেন সে আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম বেগবান করার জন্য ছাত্র সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।

এছাড়া শহীদ রূপক চাকমার স্মরণে আজ সন্ধ্যায় আবÿ মূর্তির পাদদেশে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post