কল্পনা চাকমা’র চিহ্নিত অপহরণকারী
লে. ফেরদৌস’কে গ্রেফতার
ও এসপি
কর্তৃক কল্পনা
অপহরণ ঘটনা
তদন্ত প্রত্যাখ্যান
করে খাগড়াছড়িতে
বিক্ষোভ মিছিল
ও সমাবেশ
করেছে পাহাড়ি
ছাত্র পরিষদ।
আজ ১২ জুন
বুধবার সকাল
সাড়ে দশটায়
উপজেলা মাঠ
থেকে একটি
বিক্ষোভ মিছিল
বের করা
হয়।
মিছিলটি চেঙ্গী
স্কোয়ার হয়ে
শাপলা চত্বরের
দিকে যেতে
চাইলে মহাজনপাড়াস্থ
সূর্য্যশিখা ক্লাবের সামনে পুলিশ বাঁধা
দেয়।
পুলিশি বাঁধার
কারণে মিছিলটি
সেখান থেকে
ফিরে চেঙ্গী
স্কোয়ারে এসে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশ
অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র
পরিষদের খাগড়াছড়ি
জেলা শাখার
সভাপতি উমেশ
চাকমার সভাপতিত্বে
বক্তব্য রাখেন
গণতান্ত্রিক যুব ফোরামে'র সাধারণ
সম্পাদক মাইকেল
চাকমা, পিসিপি’র কেন্দ্রীয়
সভাপতি থুইক্যচিং
মারমা ও
পিসিপি খাগড়াছড়ি
জেলা শাখার
সাধারণ সম্পাদক
বিপুল চাকমা। এছাড়া
সমাবেশে সংহতি
জানিয়ে বক্তব্য
রাখেন এমএন
লারমা পিসিপি’র সাধারণ
সম্পাদক অমর
সিং চাকমা। সমাবেশ
পরিচালনা করেন
পিসিপি নেতা
অংকন চাকমা।
সমাবেশে মাইকেল চাকমা
বলেন, কল্পনা
চাকমা অপহরণের
১৭ বছর
পরও সরকার
দোষীকে গ্রেফতার
করতে পারেনি। এভাবে
দোষীরা গ্রেফতার
ও শাস্তি
না পাওয়াতে
পাহাড়ে একের
পর এক
পাহাড়ি নারী
ধর্ষণের শিকার
হচ্ছে।
তিনি সম্প্রতি ভূমি
কমিশন আইন
সংশোধনী ও
বহিরাগত বাঙালিদের
৭২ ঘন্টা
হরতালকে সমালোচনা
করে বলেন,
পাহাড়িদের প্রথাগত ভূমি আইন ব্যবস্থা
মেনে না
নিয়ে কমিশন
আইন শতবার
সংশোধনী আনা
হলেও এই
কমিশনকে দিয়ে
ভূমি সমস্যা
সমাধান করা
যাবে না। পার্বত্য
চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন আইন সংশোধনীর
পর সেটলার
বাঙালিদের একটি অংশকে উস্কে দিয়ে
সেনাবাহিনীর একটি অংশ এবং সরকার
ও বিরোধীদলের
উগ্রসাম্প্রদায়িক অংশটি পরিকল্পিতভাবে
পাহাড়ের পরিস্থিতিকে
অস্থিতিশীল করা চক্রান্ত চালাচ্ছে।
পাহাড়ের সকল
সম্প্রদায়কে সাম্প্রদায়িক উস্কানীতে কান না
দেওয়ার জন্য
আহ্বান জানান।
পিসিপির সভাপতি থুইক্যচিং
মারমা বলেন,
কল্পনা চাকমাকে
নির্বাচনের সাত ঘন্টা আগে কজইছড়ি
ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. ফেরদৌসে নেতৃত্বে
এক দল
সেনা ও
ভিডিপি সদস্য
কর্তৃক লাল্যাঘোনার
নিজ বাড়ি
থেকে অপহরণ
করা হয়। এই ঘটনার চাক্ষুষ
সাক্ষী কল্পনা
চাকমার বড়
ভাই কালিন্দী
কুমার চাকমা। কিন্তু
অপহরণকারীরা চিহ্নিত হলেও সরকার ১৭
বছর ধরে
এখনো কাউকে
গ্রেফতার করেনি। এ ঘটনায় একটি
মামলা দায়ের
করা হলেও
তদন্তকারী কর্মকর্তারা কোন কূল কিনারা
বের করতে
পারেননি।
তিনি বলেন, সরকার
এত তালবাহানা
না করে
চিহ্নিত অপহরণকারী
লে. ফেরদৌস’কে গ্রেফতার
করে জিজ্ঞাসাবাদ
করা হলে
আসল ঘটনা
জানা যাবে। পার্বত্য
চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কূকীর্তি আড়াল করার
উদ্দেশ্যে লে. ফেরদৌসকে বাঁচানো হচ্ছে
বলে তিনি
উল্লেখ করেন।
Post a Comment