বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আদিত্য কুমার দেওয়ানের চরিত্রহননের নিন্দা তিন সংগঠনের

 
প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিনিধি,

২০ জুন ২০২৫


বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কানাডায় কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ডসন কলেজের অধ্যাপক ড. আদিত্য কুমার দেওয়ানের বিরুদ্ধে ভাষা সন্ত্রাস ও তার চরিত্রহননের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ)।


আজ ২০ জুন ২০২৫ শুক্রবার পিসিপির সভাপতি অমল ত্রিপুরা, এইচডব্লিউএফের সভাপতি নীতি চাকমা ও ডিওয়াইএফের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা এক যৌথ বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।


তারা বলেন, সম্প্রতি মোনোগীত জুম্ম  (Monogeet Jumma)  নামের একটি ভূয়া ফেসবুক আইডি থেকে অত্যন্ত কুৎসিত, অশালীন ও কদর্য ভাষায় ড. আদিত্য কুমার দেওয়ানের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা হয়েছে, যা সভ্য সমাজে অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়।


তিন সংগঠনের নেতারা মনে করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের আন্দোলনের এক্টিভিস্ট কানাডা প্রবাসী প্রজ্ঞা তাপস চাকমার বিরুদ্ধে সে দেশের সরকারের কাছে জনসংহতি সমিতির সন্তু গ্রুপের নেতাদের লেখা মিথ্যা অভিযোগনামায় স্বাক্ষর না করায় ড. আদিত্য কুমার দেওয়ানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ হিসেবে সন্তু গ্রুপের নেতাকর্মীরা এভাবে তার চরিত্রহননে নেমেছে।

তিন সংগঠনের নিন্দা ও প্রতিবাদ

জেএসএস নেতাকর্মীদের এ ধরনের বিষাক্ত ভাষা  (toxic language)  ব্যবহার তাদের রাজনৈতিক ও আদর্শিক দেউলিয়াত্বেরই চূড়ান্ত প্রতিফলন বলে মন্তব্য করে তারা আরও বলেন, কেবল ড. আদিত্য কুমার দেওয়ান নন, ইতিপূর্বে চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অন্টারিও-র সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ভাইস চ্যান্সেলর এবং বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ভাইস চ্যান্সেলর ড. অমিত চাকমা ও বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী দিল্লি ভিত্তিক রাইটস এন্ড রিস্ক এনালাইসিস গ্রুপ  (RRAG)-এর ডিরেক্টর সুহাস চাকমাসহ আরও অনেকে জেএসএস সন্তু গ্রুপ কর্তৃক বীভৎস ভাষায় চরিত্রহনন ও হুমকি-ধমকির শিকার হয়েছেন।


যারাই তাদের সাথে ভিন্নমত পোষণ করেন বা যারা স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে চান বা এমনকি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কথা বলেন, জেএসএস সন্তু গ্রুপ সব  সময় তাদের ওপর চড়াও হয়ে থাকে বলে তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করেন এবং বলেন, পার্বত্য চুক্তির পর জেএসএস সন্তু গ্রুপ বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীর নিকৃষ্ট দালালে পরিণত হয়েছে এবং আন্দোলনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।


এই বাধা অপসারণ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের স্বাধিকার আন্দোলনকে বেগবান করতে নেতৃবৃন্দ সকল গণতন্ত্রমনা ও প্রগতিশীল ব্যক্তি, সংগঠন ও দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।


Post a Comment

أحدث أقدم