![]() |
| বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনে মনোগ্রাম |
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এর নেতৃবৃন্দের উপর পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(জেএসএস) কর্তৃক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন।
আজ সোমবার (১৩ মে ২০২৪) সংগঠনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক বিবৃতি এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতি তারা আহ্বান জানিয়ে বলেন, পাহাড়ে চলমান ন্যায্য আন্দোলনকে রাষ্ট্রীয় মদদে দ্বিধা বিভক্ত করার নীল নকশাকে উন্মোচন করুন!
জাতীয়তাবাদী সংকীর্ণ চেতনা বর্জন করুন, নিপীড়িত পাহাড়ি-বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা উচ্ছেদের আন্দোলনে শামিল হোন!
বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়ে বলেন, গত ১০ মে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বার্ষিক সম্মেলনে জাতীয় কমিটির সভাপতিসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত হয়েছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কমরেডদের বহিরাগত তকমা দিয়ে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(জেএসএস) হামলা করে। বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
"সরকার শান্তি চুক্তির মুলা ঝুলিয়ে আন্দোলনকে বিভক্ত করছে" মন্তব্য করে বিবৃতিতে ছাত্র-যুব আন্দোলন বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন থেকেই পাহাড়ে অন্যায় ভাবে দখল-নির্যাতন চালিয়ে এসেছে। এর প্রতিবাদে গড়ে উঠা আন্দোলন সংগ্রামকে যখন যে শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় ছিল তারা নির্মমভাবে দমন করেছে। হাসিনা-আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার শান্তি চুক্তির মুলা ঝুলিয়ে আন্দোলনকে করেছে বিভক্ত। পাহাড়ে অঘোষিত সেনা শাসন জারি রেখে পাহাড়ি নারী-পুরুষ-শিশুসহ সকলের জীবন দুর্বিষহ করে রেখেছে। ফ্যাসিস্ট সরকার কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়ে পিসিপি(জেএসএস) কে সেখানকার নিপীড়িত পাহাড়ি ও পাহাড়ে গড়ে উঠা মুক্তিকামী সংগঠনকে দমন-নির্যাতন করার কাজে ব্যবহার করছে। অবৈরী দ্বন্দ্বকে রাষ্ট্রীয় মদদে পরিকল্পিতভাবে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে রূপ দিয়েছে। এরই একটি উদাহরণ হলো এই আক্রমণ।
বিবৃতিতে বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন, পাহাড়ে চলমান জাতীয় মুক্তির আন্দোলনকে এগিয়ে নেবার জন্য ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত অবসান সহ পাহাড় সমতলে, লড়াইকে সমান তালে এগিয়ে নিতে সারাদেশের জাতিসত্তার আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার আন্দোলনকে সমর্থন করার আহ্বান জানান।

إرسال تعليق