শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি পিসিপির শ্রদ্ধা নিবেদন

বিপুল চাকমাসহ চার জনকে হত্যার সাথে জড়িতদের বিচার ও পাহাড়ে সেনাশাসন বন্ধের দাবি

মিরপুর-১ এ অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন পিসিপির নেতৃবৃন্দ
‘পাহাড়ে সেনাসৃষ্ট নব্য রাজাকারদের খুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক শক্তি সোচ্চার হোন’ এই আহ্বানে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ’৭১ সালে পাকা হানাদারদের হাতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামে ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। 

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৩) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় মিরপুর-১ এ অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের পক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, সাংগঠনিক সম্পাদক শুভাশীষ চাকমা ও ঢাকা শাখার সভাপতি নরেশ ত্রিপুরা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অমল ত্রিপুরা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর এদেশের জনগণের বিজয়ে প্রাক্কালে পাক বাহিনী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছিল। আমরা আজকের এই দিনে তাদের শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে স্মরণ করছি। পাক বাহিনী ও তাদের দোসররা এদেশের জনগণকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার লক্ষ্যে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। 
 শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্যালুট প্রদান করছেন পিসিপির নেতৃবৃন্দ
তিনি আরো বলেন, পাক বাহিনী ও তাদের দোসররা স্বাধীনতার পূর্বে এদেশের মেধাবী ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে যেভাবে জাতিকে মেধাশূণ্য করার পাঁয়তারা চালিয়েছিল, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ রাষ্ট্রও একই পন্থা বেছে অবলম্বন করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সেনাবাহিনী মোতায়েন করে সেনাশাসন জারি রাখার মাধ্যেমে পাহাড়ি জনগণের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন, খুন-গুম, অপহরণ করে পাহাড়ি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করতে প্রতিনিয়ত একের পর এক ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এরই অংশ হিসেবে গত ১১ ডিসেম্বর রাতে সেখানকার সেনাবাহিনীর নির্দেশনায় তাদের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী পাহাড়ি রাজাকাররা খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সাবেক ছাত্র নেতা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরাকে হত্যা ও হরি কমল ত্রিপুরাসহ ৩ জনকে অপহরণ করেছে। আমরা এই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি এবং হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা সেনা কর্মকর্তা ও তাদের সৃষ্ট নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীদের গ্রেফকারপূর্বক বিচারসহ অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের সেনাশাসন বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।

Post a Comment

أحدث أقدم