আজ শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩ অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি বিরো চাকমা’র সভাপতিত্বে ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক সত্য চাকমা’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর বাঘাইছড়ি ইউনিটের সংগঠক আর্জেন্ট চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রুপায়ন চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখা সভাপতি অজল চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাজেক থানা শাখার সভাপতি নিউটন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক বিশাখা চাকমা।
স্মরণসভা শুরুতে নান্যাচর গণহত্যায় যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে ২ মিনিট নিরাবতা করা হয়।
সভায় ইউপিডিএফ সংগঠক আর্জেন্ট চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও সেটলার বাঙালি কর্তৃক পাহাড়িদের ওপর যে ডজনের অধিক যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে নান্যাচর গণহত্যার তার মধ্যে একটি। দীর্ঘ ৩০ বছরেও এই রাষ্ট্র নৃশংস এ গণহত্যার বিচার করেনি।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এদেশের শাসকগোষ্ঠি পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পাহাড়িদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার লক্ষ্যে স্বাধীনতার পর থেকে নানা চক্রান্ত চালাচ্ছে। বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন ও লক্ষ লক্ষ সেটলার বাঙালি পুনর্বাসনের মাধ্যমে গণহত্যা, ভূমি বেদখল, সাম্প্রদায়িক হামলা, নারী ধর্ষণ, অন্যায় দমন-পীড়ন আজও জারি রাখা হয়েছে। শাসকগোষ্ঠির এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।
পিসিপি নেতা রুপায়ন চাকমা বলেন, নান্যাচর গণহত্যাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবত যতগুলো গণহত্যা হয়েছে তার কোন সুষ্ঠু বিচার আমরা এখনো পাইনি। তাই এসব ঘটনার বিচারের জন্য আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
তিনি শাসকগোষ্ঠির সকল অন্যায়-অবিচার ও দমন-পীড়ন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতির অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনে এগিয়ে আসার জন্য ছাত্র সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
বক্তারা, পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় বাহিনী-সেটলার কর্তৃক সংঘটিত সকল গণহত্যার শ্বেতপত্র প্রকাশ ও বিচারের দাবি জানান।

Post a Comment