আন্দোলনে শহীদ, ভাষা ও সংস্কৃতিকে ক্ষমতাসীন সরকার একচেটিয়া কারবারে পরিণত করেছে
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি থুইক্যচিং মারমা ও সাধারণ সম্পাদক
রিটন চাকমা আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে মাতৃভাষায়
প্রাথমিক শিক্ষা প্রর্বতনে সরকারের গড়িমসি, পার্বত্য চট্টগ্রামে দমন-পীড়ন জোরদারের
লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশেষ নির্দেশনা জারির প্রতিবাদে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি
পিসিপি প্রভাত ফেরিতে অংশ নেবে না এবং শহীদ মিনারেও ফুল দেয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তের
কথা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে পিসিপি’র নেতৃদ্বয়
‘৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের শহীদ রফিক-বরকত-জব্বারদের আত্মবলিদানের প্রতি গভীর সম্মান
জানিয়ে বলেন,‘পিসিপি শহীদদের যথাযথ মর্যাদা দেয়। কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকার তথা শাসকগোষ্ঠী
হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে জাতীয় শহীদদের সম্মান প্রদর্শন, ভাষা ও সংস্কৃতিকে নিজেদের
একচেটিয়া কারবারে পরিণত করে ফেলেছে, যা পিসিপি’র নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। পাকিস্তানি শাসকদের
মতই বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীও ভিন্ন ভাষা-ভাষীদের মাতৃভাষার স্বীকৃতি দিচ্ছে না। নানাভাবে
নিপীড়ন-নির্যাতন চালাচ্ছে।’
পিসিপি’র নেতৃত্বদয় শহীদ
মিনারে মুজিব-জিয়ার ছবি টাঙানো নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি কর্মীদের প্রতিযোগিতাকে অসুস্থ,
কুৎসিত আখ্যায়িত করে বলেছেন, ‘এতে প্রকারান্তরে প্রকৃত
ভাষা শহীদদেরই অসম্মান করা হয়। ভাষা আন্দোলনে জিয়াউর রহমানের কোন ভূমিকা বা অবদান ছিল
না, তাকে সম্মান জানানোর স্থান শহীদ মিনার নয়। অন্যদিকে ভাষা আন্দোলনে মুজিবের কতটা
অবদান আছে, সেটা নিয়েও বহু কথাবার্তা বিতর্ক রয়েছে। কাজেই মুজিবকে সম্মান জানানোর স্থানও
শহীদ মিনার হতে পারে না। শহীদ মিনার কেবল ভাষা শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত।
এই নিগুঢ় সত্য না বুঝে যারা নানা ধরনের ব্যানার টানায়-নিজেদের ছবি প্রচার করে, তারা
আসলে ভাষা আন্দোলনের শহীদদেরই অসম্মান করে চলেছে।’
বিবৃতিতে পিসিপি’র নেতৃদ্বয়
২১ ফেব্রুয়ারি তথা ভাষা আন্দোলনের শহীদদের নিয়ে নোংরা রাজনীতি না করে, বাংলা ভিন্ন
অন্যান্য ভাষার যথাযোগ্য স্বীকৃতি দিয়ে শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে সরকারের
প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বার্তা প্রেরক
বিপুল চাকমা
দপ্তর সম্পাদক
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)
কেন্দ্রীয় কমিটি।
إرسال تعليق