মহান
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলার পাশাপাশি মারমা-চাকমা-মণিপুরী ও রাখাইন ভাষায় “মা” শব্দটি প্রতীকী হিসেবে স্থাপন করে “বাংলা ভাষা এবং বাংলাদেশের সকল
মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি”-- নিবেদন করায় বৃহত্তর পার্বত্য
চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) আজ ২১ ফেব্রুয়ারি শনিবার এক বিবৃতিতে রবি মোবাইল
ফোন কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানিয়েছে। পিসিপি এটাও দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছে, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকায় (২১ ফেব্রুয়ারি’১৫) প্রকাশিত রবি’র বিজ্ঞাপনটিতে মারমা-রাখাইন-মণিপুরী হরফের সাথে চাকমা হরফে “মা”
লেখাটিতে ভুল রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে mi-এর স্থলে m হবে। কারণ চাকমা বর্ণমালা বার্মিজ
বর্ণমালার মতই আ-কারান্ত, অ-কারান্ত করতে হলে বর্ণের ওপরে বাংলা রেফ-এর মত চিহ্ন (উবোরতুল্যা)
যুক্ত করতে হয়।
বিজ্ঞাপনটিতে চাকমা
হরফে যা লেখা হয়েছে, তার উচ্চারণ হবে ম’, ‘মা’ নয়। আগামীতে রবি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে আরও যত্নবান হবেন বলে পিসিপি
প্রত্যাশা করে।
বিবৃতিতে পিসিপি এটাও আশা প্রকাশ করেছে যে, ২১ ফেব্রুয়ারি বিশেষ দিবসে বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য জাতিসত্তাসমূহের ভাষা-বর্ণমালাকে রবি মোবাইল ফোন কর্তৃপক্ষ যেভাবে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেছে, সে দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে সরকার অনতিবিলম্বে সকল জাতিসত্তার মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তনে পদক্ষেপ নেবে। দেশের অন্যান্য সংস্থাসমূহও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ভিন্ন ভাষা-ভাষীদের বর্ণমালা এবং ভাষাকে সম্মান জানাতে সচেষ্ট থাকবে বলে পিসিপি আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
পার্বত্য
চট্টগ্রামের ভাষা-সংস্কৃতির বিকাশ সাধনে ভূমিকা রাখার পরিবর্তে সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটসমূহ
অথর্ব সংস্থা হয়ে রয়েছে। এ সমস্ত ইন্সটিটিউটকে কেবল সরকারি অনুষ্ঠানে নৃত্য-গীত শিল্পী
সরবরাহকারী সংস্থায় পরিণত করেছে বলে সরকারের সমালোচনা করেছে পিসিপি।
Post a Comment