জুম্ম কন্ঠ -- হিল লিটারেচার ফোরাম-এর একটি অনিয়মিত প্রকাশনা।

 

জুম্ম কন্ঠ

সম্পাদকের পাতা

                       বশেষে গণতন্ত্রের খোলস থেকে বেরিয়ে পড়েছে স্বৈাতন্ত্রের ড্রাকুলার। আক্রান্ত হয়েছে জুম্ম  জনতার কণ্ঠস্বর। নিষিদ্ধ ঘোয়িত হয়েছে রাডারের বিচরন। সময়ের দাবী মেটাতে "স্যাটেলাইট" আবিষ্কৃত হয় নির্ভীক প্রজন্মের হাতে। সন্ত্রস্ত হয় ভীরু সরকার। 'গণতন্ত্রের' নাক নিয়ে জারা রাষ্ট্রদ্রোহীতার গন্ধ পায় "স্যাটেলাইট-) সুতরাং ফৌজদারী দণ্ডবিবি ১৯ক ধারা প্রয়োগে বানবিদ্ধ হয় স্যাটেলাইটও। আমরা আমাদের সমস্ত সত্ত্বা দিয়ে নিন্দাবাদ প্রতিবাদ জানাই। আমরা বলি, জুম্ম জনতার বাকশক্তি কেড়ে নেয়ার অধিকার কারোর নেই।

তাই তারুণ্যের অদম্য শক্তিতে ভরপুর প্রজন্ম থেমে থাকে না। যেখানেই বাধা সেখানেই ভাঙ্গার সংগ্রাম - এই সংগ্রাম চলে নিরন্তর। তাই স্বৈরাচারের কালো থাবায় জর্জরিত হতে পারে 'রাডার, 'স্যাটেলাইট, কিন্তু স্তদ্ধ   হয় না জুম্ম  জনতার প্রতিবাদী কণ্ঠ। পার্বত্য কোলের নিপীড়িত জনতার কথা বলতে, পার্বত্য চট্টলার সঠিক চিত্র তুলে ধরতে আর অধিকার আদায়ের সংগ্রাম এগিয়ে নিতে "জুম্ম কণ্ঠ" আবির্ভুত হয় সে কারনেই।

আমরা কোন রাষ্ট্রবিরোধী নই। আমরা জনতার কথা বলতে চাই। সংবিধানের মৌলিক অধিকার আমাদেরও প্রাপ্য। সেনানিয়ন্ত্রহীন শোষণ-নিপীড়ন মুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রামই আমাদের কাম্য লক্ষ্য। সামরা সকলের সহযোগিতা কামনা করি।

"জুম্মকণ্ঠে" প্রকাশিত ধরণ বক্তব্য মতামতের দায়-দায়িত্ব একমাত্র "জুম্মকণ্ঠ সম্পাদনা পরিষদ  ও সম্পাদকের।

পাহাড়ীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না।

গত ১৩ই অক্টোবর পার্বত্য চট্টগ্রামে জেকে বসা শাসক শোষকের কালো হাতে দিঘীনালায় আরও একটি বিয়োগান্ত  প্রাণনাশ সংঘটিত হল। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নাতিদীর্ঘ ইতিহাসের পাতায় প্রথম নাম লেখালেন শহীদ ভরদাস মনি। ২০শে মে রাঙ্গামাটি ষড়যন্ত্রেরই ধারাবাহিকতা এই পরিকল্লিত খুনের কোন ক্ষমা নেই। পাহাড়ী ছাত্র সমাজ বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলেছে "খুনের বদলায় স্বায়ত্বশাসন আনবোই। তাই রক্ত দিয়ে যে আত্মাহুতি দিলেন তার রক্ত কোন দিন বৃথা যেতে পারে না।

পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সমাধান সরকারের হাতে

বর্তমান সরকার জনসংহতি সমিতির মধ্যকার প্রথম বৈঠকের মধ্যদিয়ে উভয়ের আন্তরিকতা এবং সর্বোপরি জনসংহতি সমিতির অস্ত্রবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধিতে যে ইতিবাচক ভূমিকা পরিলক্ষিত হল তাতেই সুস্পষ্ট হয়ে গেল গোটা ব্যাপারটি এখন সরকারী সদিচ্ছার উপর নির্ভরশীল। তবে যোগাযোগ মন্ত্রী অলি আহমেদের "স্বায়ত্বশাসন কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না" ধরনের বক্তব্যে আশ্বস্ত হওয়ার পুরো ব্যাপারটি গোলাটে হয়ে গ্যাছে। তবুও আমরা আলোচনায় অগ্রগতি কামনা করে সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করছি। একই সাথে শান্তি, স্থিতিশীলতাসহ জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে সরকারকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে যাবার আহবান জানাই।


বিস্তারিত পড়তে নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করুন - 

জুম্ম কন্ঠ


Post a Comment

أحدث أقدم