![]() |
| সাবেক ছাত্রনেতা শহীদ মিটন চাকমা |
আজ সোমবার (১১ নভেম্বর ২০২৪) সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্র জোটের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা জানতে পারি যে, গতকাল ১০ নভেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সদস্যরা হামলা চালিয়ে সাবেক ছাত্রনেতা মিটন চাকমাকে গুলি করে হত্যা করেছে। এছাড়া কিছুদিন আগেও একই উপজেলায় ৩ জন ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। পাহাড়ে পর পর এমন হত্যাকাণ্ড আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি এবং এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সেখানকার অধিবাসীদের জন্য অশনি সংকেত। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পরও পাহাড়ে নিপীড়নের চিত্র পাল্টায় নি, বরং তা দিন দিন তীব্র আকার ধারণ করছে। তাই অবিলম্বে তা বন্ধ হওয়া উচিত।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলসমূহকে চলমান সংঘাত বন্ধ করে পাহাড়ে স্বায়ত্তশাসনের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়াও পাহাড় থেকে সেনা শাসন প্রত্যাহারের জন্য জোর দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ, অবিলম্বে পানছড়িতে সাবেক ছাত্রনেতা মিটন চাকমাকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক বিচারের দাবি জানান।
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাগীব নাঈম, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) তাওফিকা প্রিয়া।

إرسال تعليق