![]() |
| প্রদীপ লাল ও কুসুম প্রিয় চাকমার মরদেহ। |
আর প্রদীপ লাল চাকমা ছিলেন পাহাড়ি গণ পরিষদের পানছড়ি থানা শাখার সভাপতি।
জানা যায়, সেদিন (৪ এপ্রিল’৯৮) কুসুম প্রিয় চাকমা ও প্রদীপ লাল চাকমাকে ‘জেএসএস সভাপতি সন্তু লারমা ডেকে পাঠালে, তারা তাঁর সাথে সাক্ষাত করতে খাগড়াছড়ি সার্কিট হাউজে গিয়েছিলেন। তবে তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছিলো তা জানা সম্ভব হয়নি।’
সন্তু লারমার সাথে কথাবার্তা শেষে কুসুম প্রিয় ও প্রদীপ লাল চাকমা সার্কিট হাউজ থেকে বেরিয়ে পানছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারা লতিবান এলাকায় পৌঁছলে আগে থেকে সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা জেএসএস সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুবই নির্মমভাবে তাদেরকে হত্যা করে।
স্মতর্ব্য যে, পার্বত্য চুক্তির বহু আগে ১৯৯৫ সালের ১৫ জুন ধুধুকছড়ায় প্রকাশ্য বক্তৃতাদানকালে জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা তিন সংগঠনের গণতান্ত্রিক কার্যক্রম নিয়ে বিষোদগার করেন। সেদিন তিনি ‘জঙ্গী আন্দোলন করে স্বায়ত্তশাসন আদায় করা যায় না’ বলে মন্তব্য করলে সমাবেশস্থলেই জনগণের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সেদিন প্রদীপ লাল চাকমা সভায় সমবেতদের মধ্য থেকে দাঁড়িয়ে সন্তু লারমার কাছ থেকে জানতে চান ‘তাহলে কীভাবে আন্দোলন করা? কিন্তু সন্তু লারমা তার প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি। সন্তু লারমার সহযোগি এক উচ্চ পদস্থ কেন্দ্রীয় নেতা ‘পরে আলোচনা করবো’ বলে দ্রুত তারা সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন। পরে প্রদীপ লাল চাকমা তার প্রশ্নের উত্তর না দেয়ার ক্ষোভ জানিয়ে বিভিন্ন সময় সমালোচনা করেন।
পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনসংহতি সমিতি তথা সন্তু লারমা শেখ হাসিনার সাথে আপোষের পথে পা বাড়ালে কুসুম প্রিয় চাকমা ও প্রদীপ লাল চাকমা পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের পক্ষাবলম্বন করেন এবং জনগণের অধিকার পাশ কাটিয়ে সরকারের সাথে জেএসএস-এর আপোষ চুক্তিতে উপনীত হওয়া সম্পর্কে বিস্তর সমালোচনা করেন।
উপরিউক্ত ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করেই উক্ত দুই নেতা সন্তু লারমার চক্ষুশূলে পরিণত হন এবং তাদেরকে দুনিয়া থেকে চিরতরে শেষ করে দিতেই পরিকল্পনামাফিক সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে সন্তু লারমা এই নির্মম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেন বলে ওয়াকিবহাল মহল ধারণা পোষণ করেন।
তথ্য সূত্র : সিএইচটি নিউজ

إرسال تعليق