সেনাবাহিনীর সদস্যদের বাধা ভেঙে রাঙামাটির কুদুকছড়িতে
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি),
হিল উইমেন্স ফেডারেশন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট
(ইউপিডিএফ)।গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা বিপুল চাকমা, পিসিপির সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, ডিওয়াইএফ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহসভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন ত্রিপুরার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি এবং ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেয়ার দাবিতে আজ ২১ জানুয়ারি ২০২৪, রবিবার সকাল ১১টায় এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
কিন্তু প্রতিবাদী জনতা সেই বাধা ঠেলে মিছিলটি এগিয়ে নেয়। এ সময় তারা ‘গো ব্যাক বাংলাদেশ মিলিটারী, যে বাহিনী খুন করে সেই বাহিনী চাই না, যে বাহিনী দালাল পোষে সেই বাহিনী চাই না’ ইত্যাদি সেনাশাসন বিরোধী শ্লোগান দিতে থাকে।
পরে মিছিলটি রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক দিয়ে মধ্যপাড়া (ধর্মঘর) এলাকায় এসে শেষ হলে অতঃপর সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন ইউপিডিএফ রাঙামাটি সদর উপজেলা সংগঠক বিবেক চাকমা এবং সঞ্চালনা করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তনুময় চাকমা।
সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ধর্মশিং চাকমাও উপস্থিত ছিলেন।
এই আইন অমান্যকারী কর্মকর্তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে ঠ্যাঙারেরা এখন বুক ফুলিয়ে খুনের দায় স্বীকার করছে এবং ফোনে আরও বিভিন্ন জনকে খুন করার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
বক্তারা প্রশ্ন করে বলেন, সরকারী মন্ত্রী ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বড় বড় কর্তারা প্রতিদিন সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বড় গলায় হাঁকডাক ছাড়েন, কিন্তু ঠ্যাঙাড়েরা যে প্রতিদিন রাঙামাটির সুবলং, নানিয়াচর ও খাগড়াছড়ির দেওয়ানপাড়া ও তেঁতুলতলাসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্য দিবালোকে ও নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পের পাশে চাঁদাবাজি করে, তখন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কোথায় থাকেন?
গত ছয় বছরে একটি বিশেষ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মদদপুষ্ট ঠ্যাঙাড়েরা ৫৫ জন ইউপিডিএফ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থককে খুন করেছে জানিয়ে বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে, আমরা আর সহ্য করতে রাজী নয়। সরকারকে এই খুনের উৎসব অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এবং ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দিতে হবে।’
তারা বলেন, ‘একের পর এক খুন করেও ঠ্যাঙাড়েদেরকে এখনও আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখা হয়েছে। ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি ইউপিডিএফ সংগঠক মিঠুন চাকমাকে খাগড়াছড়ি শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন করা হয়েছে। একই বছর ১৮ আগস্ট স্বনির্ভরে ইউপিডিএফ-ভুক্ত সংগঠনের ৭ জন নেতা ও সমর্থককে দিন দুপুরে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের চোখের সামনে ব্রাশ ফায়ার করে মেরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু তারপরও খুনীদের গ্রেফতার ও শাস্তি হয়নি।’
তারা অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে অপারেশন উত্তরণ নামে জারিকৃত অঘোষিত সেনাশাসন তুলে নেয়ারও দাবি জানান।





إرسال تعليق