![]() |
| পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন পানছড়ি উপজেলা শাখা কর্তৃক যৌথভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত লিফলেট। |
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন পানছড়ি উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাই। আপনারা জানেন, গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় লোগাং ইউনিয়নের অনিল পাড়ায় সাংগঠনিক কাজে অবস্থানকালে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরাকে নির্মমভাবে হত্যা এবং ইউপিডিএফ সংগঠক হরি কমল ত্রিপুরা, প্রকাশ ত্রিপুরা ও নীতি দত্ত চাকমাকে অপহরণ করা হয়। এ হত্যাকাণ্ড ঘটনার একমাস পরও প্রশাসন কাউকে গ্রেফতার করেনি।
খুনের সাথে জড়িত কারা?
আপনারা জানেন, নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে পানছড়ি বাজার এলাকায় অবস্থান করে খুন, হত্যা ও চাঁদাবাজি করে আসছে, যা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের অজানা নয়। তাছাড়া জনগণের তোপের মুখে সেনাবাহিনী উদ্ধার নাটক মঞ্চস্থ করে কোর্টের মাধ্যমে অপহৃতদের ছেড়ে দিলে খুনীদের পরিচয় স্পষ্ট হয়। দেশে আইনের শাসন থাকলে পুলিশ অপহৃতদের নিকট থেকে খুনিদের পরিচয় জেনে গ্রেফতার করতে পারতো। কিন্তু প্রশাসন খুনিদের ব্যাপারে বন্দীদশা থেকে মুক্ত হওয়া ইউপিডিএফ সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে আমরা জানতে পারিনি। শুধু তাই নয়, ‘উদ্ধারকারী’ সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে স্বাধীনভাবে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে দেয়নি বলে জানা গেছে। তথাকথিত উদ্ধারের পর অপহৃত ইউপিডিএফ সদস্যদেরকে আদালতে নেয়া হলে সেখানে সাংবাদিকরা ভিড় করেছিল, তাদের সাথে কথা বলার জন্য। কিন্তু ‘উদ্ধারপ্রাপ্ত’ ইউপিডিএফ সদস্যদেরকে সাংবাদিকদের কাছে কেবলমাত্র সেনাদের শেখানো বুলি আওড়াতে বাধ্য করা হয়। ‘উদ্ধার’ হওয়া ইউপিডিএফ সদস্যদের কাছ থেকেই এই তথ্য জানা গেছে।
অপহৃত ও পরে মুক্তিপ্রাপ্ত ইউপিডিএফ সদস্যদের সাথে কথা বলে যা জানা গেছে তাতে স্পষ্ট যে, ১১ ডিসেম্বরের খুন ও অপহরণ সেনাবাহিনীর একটি অংশের পরিকল্পনা ও সহযোগিতায় ঠ্যাঙাড়ে নব্য মুখোশদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। তিন ইউপিডিএফ সদস্যকে অপহরণের পর প্রথমে পানছড়ি বাজারের কাছে মানিক্যাপাড়ায় নব্য মুখোশদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মুখোশরা তাদেরকে সেখান থেকে ভাইবোনছড়ার দেওয়ান পাড়ায় নিয়ে যায় (দেওয়ানপাড়া আর্মি ক্যাম্পের পাশেই হলো মুখোশদের আস্তানা)। এর দু’দিন পর তাদেরকে দেওয়ান পাড়া আর্মি ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়। অতঃপর আর্মিরা উদ্ধার নাটক সাজিয়ে তাদেরকে খাগড়াছড়ির আদালতে সোপর্দ করে।
সেনা-সংশ্লিষ্টতার আরও প্রমাণ
বিপুলদের হত্যাকাণ্ডের সাথে সেনাবাহিনীর একটি অংশের সংশ্লিষ্টতার আরও প্রমাণ রয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকার খবরে ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, খুনের ঘটনার ২০ ঘন্টা পর বিপুলসহ চার ছাত্র-যুব নেতাকে পুলিশ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। অথচ পানছড়ি থানা থেকে ঘটনাস্থলে যেতে সময় লাগে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিট (যদিও মিডিয়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে ও সম্ভবত উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘটনাস্থলকে দুর্গম এলাকা বলে প্রচার করা হয়েছে)। ঘটনার পর পানছড়ি থানার ওসি অনিলপাড়ায় যেতে চাইলে তাকে পানছড়ি সাবজোন কমান্ডার মেজর জোবায়েদ মোহাম্মদ বাধা দেন। অনেক দেনদরবারের পর খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে অবশেষে বিষয়টির মীমাংসা হয় এবং পুলিশ ভিকটিমদের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
আমাদের প্রশ্ন হলো, যেখানে কোন খুনের ঘটনা হলে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি পায়, আলামত সংগ্রহ করতে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে হাজির হয়, বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়ে যায়, সেখানে ঘটনাস্থলে যেতে মেজর জোবায়েদের পক্ষ থেকে পুলিশকে বাধা দেয়ার কারণ কী? ঘটনা ধামাচাপা দেয়া ও আলামত গোপন করাই কি বাধা দেয়ার উদ্দেশ্য? আরও একটি বিষয় হলো, ভিকটিমদের মরদেহ উদ্ধার করে যেদিন পানছড়ি থানায় রাখা হয়, সেদিন নিহত বিপুল চাকমার কাকা নিরুপম চাকমাকে পানছড়ি থানায় ডেকে এনে তাকে একটি সাদা কাগজে দস্তখত দিতে বাধ্য করা হয়। পরে পত্রিকায় রিপোর্ট করা হয়, বিপুল চাকমার কাকা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উক্ত খুনের ঘটনার জন্য মামলা দায়ের করেছেন। খুনীদের বাঁচাতে ও নিজের সংশ্লিষ্টতা আড়াল করতে মেজর জোবায়েদ যে এটা করেছেন তাতে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না।
খুনীদের উল্লাস ও হুমকি
কারা বিপুল, সুনীল, লিটন ও রুহিনকে হত্যা করেছে তারা এখন চিহ্নিত হয়ে গেছে। খুনীদের অনেকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা বুক ফুলিয়ে স্বীকার করে প্রচার করছে। এমনকি ৪ নেতাকে হত্যার পাঁচ দিন পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে আত্মস্বীকৃত চিহ্নিত খুনীদের পানছড়ি ইউএনও অফিসের সামনে উপজেলাস্থ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে দেখা যায়। তারা প্রশাসনের নাকের ডগায় এখনও পানছড়ি বাজারের কাছে মানিক্যাপাড়ায় ও ভাইবোনছড়ার দেওয়ানপাড়ায় অবস্থান করছে। কিন্তু তারপরও খুনীদের গ্রেফতার করতে প্রশাসনের এত অনীহা কেন? খুনীরা কি প্রশাসনের চাইতে শক্তিশালী ? তাদের এই শক্তির উৎস কি?
বিপুলদের হত্যার পর খুনীরা এখন উল্লসিত। ‘একশন সফল হওয়ার’ পর তাদের গডফাদারদের কাছে তাদের কদর আরও বেড়ে গেছে। এর প্রমাণ গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন-নাটকে তাদের ভূমিকা। উল্লেখ্য, সম্ভাবনাময় ৪ নেতা হত্যার প্রতিবাদে ও নূন্যতম গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকায় ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটদানে বিরত থাকেন। শুধু খাগড়াছড়িতে ১৯টির বেশী কেন্দ্রে একটাও ভোট পড়েনি। বাকি কেন্দ্রগুলোতে হাতেগোনা ভোটার ভোট দিতে যান। কিন্তু নির্বাচনে অধিক ভোট কাস্টিং দেখানোর জন্য চিহ্নিত নব্যমুখোশ খুনীদের দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার পক্ষে ব্যাপক ভোট ডাকাতি করা হয়। যারা ভোটদানে বিরত ছিলেন, নির্বাচনের পর খুনীদের দিয়ে তাদের প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে এবং লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছে। এক্ষেত্রে তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও রেহাই দিচ্ছে না। অপরাধীদের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের নিরাপত্তা বলয়ে রেখে এবং জনমনে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে নব্যমুখোশদের দিয়ে নির্বিচারে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। উত্তোলিত এসব চাঁদার বিরাট একটা অংশ কিছু সেনা কর্মকর্তার পকেটে যায় বলে কথিত আছে।
জনসংহতি সমিতির দেউলিয়াপনা
এ প্রসঙ্গে সন্তু লারমার জেএসএস-এর ভূমিকা নিয়েও কিছু বলা আবশ্যক। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির একাংশের সভাপতি সন্তু লারমা দীর্ঘ দ্ইু যুগের অধিক সময় ধরে আঞ্চলিক পরিষদের গদিতে বসে আছেন। জনগণের পক্ষে আন্দোলন করার জন্য জনসংহতি সমিতি চাঁদা উত্তোলন করে, সন্তু লারমা প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা নিয়ে সরকারি পাজেরো গাড়িতে চড়েন এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তাঁর বেতন-ভাতা হয়। তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্ভাবনাময় ৪ নেতাকে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনি নিশ্চুপ থাকেন কিভাবে? তিনি জুম্ম জাতির নেতা হলে অবশ্যই এসব ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করতেন। কিন্তু সরকার শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ও জনগণের পক্ষে সামান্যতম কথা বলার মুরোদ তার নেই। নিজ জাতভাইয়ের বিরুদ্ধে সন্তু লারমা ‘এক বনে এক বাঘ’ নীতিতে বিশ^াসী হলেও, শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার ক্ষেত্রে তিনি হয়ে যান গৃহপালিত বিড়াল। গৃহস্থের অন্ন ভক্ষণ করে নিজ দায়িত্ব ভুলে নিদ্রা যাপনই তার কর্ম। তিনি নিজ জাতির বিরুদ্ধে সংঘাত বাঁধাতে দুই মিনিট দেরি করেন না, কিন্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ঢাকায় বড় সমাবেশের প্রস্তাবকে তিনি অবাস্তব ও অসম্ভব বলে মন্তব্য করেন। মোটকথা, সরকার অসহনশীল হবেন এমন কোনো আন্দোলন তিনি করবেন না। এই অবস্থায় পাহাড়ি জনগণ তার কাছে কী আশা করতে পারে?
৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউপিডিএফ বাদে অন্যান্য অধিকারকামী পরিচয় দেয়া দলগুলো রাজনৈতিকভাবে কী পরিমাণ দেউলিয়াগ্রস্ত। একতরফা প্রহসনের নির্বাচন বিষয়ে ইউপিডিএফের রাজনৈতিক অবস্থান ছিল অত্যন্ত সুস্পষ্ট: ইউপিডিএফ দেশের জনগণের ন্যায্য দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে ও পার্বত্য চট্টগ্রামে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ বিরাজ না করার বিষয়টি তুলে ধরে নির্বাচন বর্জনের ডাক দেয়। অপরদিকে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস নেতা উষাতন তালুকদার সুষ্ঠু ভোট হবে না অভিযোগ তুলে শেষ মুহুর্তে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন। প্রশ্ন থেকে যায় তিনি মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করার সময় সুষ্ঠু ভোট হবার কী পূর্বাভাস পেয়েছিলেন? কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা তার এক বক্তব্যের মাধ্যমে পরিষ্কার করেন যে, “সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বোঝাপড়ার মাধ্যমে উষাতন তালুকদার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছিলেন।” তার এই বক্তব্যের সাথে ভোটের দিন জেএসএস সদস্যদের ভূমিকা মিলে যায়। খাগড়াছড়ির দিঘীনালায় জেএসএস-এর সশস্ত্র সদস্যরা নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য জনগণকে হুমকি দেয় বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। জেএসএস-এর ঘাঁটি অঞ্চলগুলোতে ভোট পড়ার হার লক্ষ্য করলেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। মোট কথা, এই ভোটের মাধ্যমে আরও একবার প্রমাণ হয়েছে যে, জেএসএস নেতা সন্তু লারমা আওয়ামী লীগের চাকর ছাড়া আর কিছুই নন। অন্যদিকে জেএসএস সংস্কারবাদী নেতৃত্ব দলগতভাবে ছিল নির্বাচন প্রশ্নে সিদ্ধান্তহীন এবং অঞ্চল ভিত্তিতে বিভক্ত। কিছু এলাকায় তাদের অনেকে নির্বাচন প্রশ্নে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করলেও, অনেক এলাকায় তাদেরকে মুখোশদের সঙ্গে মিলে নৌকার পক্ষে ভোট ডাকাতি করতে দেয়া যায়।
বন্ধুগণ,
পার্বত্য চট্টগ্রামের এই দুর্দিনে একমাত্র ইউপিডিএফ জনগণের পক্ষে থেকে কার্যকর সিদ্ধান্ত ও নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হয়েছে। তাই পার্টি ও তার সহযোগী সংগঠন এবং শুভাকাঙ্খীদের ওপর চলছে ব্যাপক দমন-পীড়ন। সহযোদ্ধা বিপুল-লিটন-সুনীল-রুহিনের হত্যাকাণ্ড এই দমন পীড়নেরই অংশ। এই অবস্থায় ছাত্র-যুব-নারী সমাজের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করা ছাড়া গতি নেই। আসুন আমরা আওয়াজ তুলি-
১. অবিলম্বে বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিনের চিহ্নিত ও আত্মস্বীকৃত খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে।
২. নব্য মুখোশ ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙ্গে দিতে হবে।
৩. খুনী ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর মদদদাতাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
৪. খুনী-দালালদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
৫. পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাশাসন প্রত্যাহার করতে হবে।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পানছড়ি উপজেলা শাখা
-----------------------------------------------------------------------------------
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন পানছড়ি উপজেলা শাখা কর্তৃক যৌথভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত। ১৮ জানুয়ারি ২০২৪।

إرسال تعليق