পার্বত্য চট্টগ্রামের আন্দোলনরত
৮ সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ,
হিল উইমেন্স ফেডারেশন, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটি, সাজেক নারী সমাজ, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন
প্রতিরোধ কমিটি ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের নেতৃবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতিতে আজ ১১
নভেম্বর সোমবার বিকেলে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে
নির্বাচনী ভেল্কি, লোক ঠকানোর ফন্দি উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত
যুক্ত বিবৃতিতে ৮ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী হাসিনার বক্তব্যকে চর্বিত চর্বন,
সস্তা বাহবা কুড়ানোর নি¤œস্তরের ফন্দিফিকির হিসেবে
আখ্যায়িত করে আরও বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জনগণের প্রধান দাবি বাঙালি জাতীয়তা নয়।
নিজস্ব জাতিসত্তার স্বীকৃতি, ভূমি অধিকার প্রতিষ্ঠা, পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে সেনা ও
বহিরাগত প্রত্যাহার, কল্পনা চাকমা অপহরণ সহ এ যাবৎ সংঘটিত সকল হত্যাকান্ডের
হোতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ...এসব মূল দাবি পাশ কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠার ফাঁকা আওয়াজ জনগণের নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।
যুক্ত বিবৃতিতে ৮ সংগঠনের
নেতৃবৃন্দ আওয়ামী নেত্রী শেখ হাসিনার দলীয় সভায় জমায়েতের লক্ষ্যে বিপুল রাষ্ট্রীয় বাহিনী
সেনা-বিজিবি-র্যাব-পুলিশ নিয়োগের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। শেখ হাসিনার জনসভাকে
ফৌজি শাসকদের সভার অনুরূপ মন্তব্য করে তারা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, বন্দুক
তাক করে সেনা প্রহরায় লোক জড়ো করা যায় কিন্তু জনসমর্থন লাভ করা যায় না।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন
গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম সভাপতি নতুন কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি
সোনালী চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ সভাপতি থুইক্যচিং মারমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন সভাপতি
কণিকা দেওয়ান, সাজেক নারী সমাজের সভাপতি নিরূপা চাকমা, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ
কমিটির আহ্বায়ক শান্তি প্রভা চাকমা, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি জ্ঞানেন্দু চাকমা ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক
স্কোয়াড সদস্য সচিব আনন্দ প্রকাশ চাকমা।
বার্তা প্রেরক
মাইকেল
চাকমা
সাধারণ সম্পাদক
গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম
কেন্দ্রীয় কমিটি।
إرسال تعليق